মেহেরপুরে সড়কে সড়কে মোটরসাইকেল রাইডার ও অবৈধ যানের দাপট। আরো ১জনের মৃত্যু

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় রাব্বি নামের আরো ১জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাব্বি মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। এরআগে এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৯ টায় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি ফার্ম এলাকায় ত্রিমুখী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইয়াহিয়া (৫৬) নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-মুজিবনগর, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-কাথুলী- গাংনী ভায়া হাটবোয়ালিয়া, মেহেরপুর আমঝুপি মুজিবনগর বাইপাস, বামন্দী-তেঁতুলবাড়িয়া সহ জেলার বিভিন্ন সড়কে উঠতি বয়সের ছেলেরা তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাইকরাইডারা বেপোরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বাইক রাইডারদের দাপটে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। তাদের নিষেধ করলে নানা ভাবে হুমকির শিকার হতে হয় এলাকাবাসিদের।
এলাকাবাসি জানান,মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কটি প্রসস্থ ও বিকালে পর রাস্তাটি কিছুটা ফাঁকা থাকার কারনে উঠতি বয়সের ছেলেরা মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে চালায়। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি দূর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও মেহেরপুর ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একারনে দূর্ঘটনা কিছুতেই কমছেনা।
মেহেরপুর জেলার কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছেলের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে নামীদামি মোটরসাইকেল। সেসব মোটরসাইকেল নিয়ে উঠতি বয়সের ছেলেরা বেপোরোয়া গতিতে কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত্রী পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। এখনই মোটরসাইকেল রাইডারদের থামানো না গেলে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
কয়েকজন প্রবীন মোটরসাইকেল চালক জানান, উঠতি বয়সের ছেলেদের কারনে পথে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়েছে পড়েছে। এছাড়া অবৈধ যানবাহনের দাপট তো রয়েছেই। বিভিন্ন দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ট্রাফিক পুলিশ যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন না করা, অভিভাবক ও চালকের সচেতনা কার্যক্রম না করার কারনে দূর্ঘটনা থামছেনা।
মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বুলবুল আহমেদ বলেন,প্রতিটা দূর্ঘটনা দু:খ জনক। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল চালকদের সচেতনতা করার চেষ্টা করছি। তবে অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে। একজন অভিভাবক তার উঠতি বয়সের ছেলে হাতে মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে তার জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই অভিভাবকদের সচেতনতাই দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া একটি বড় মাধ্যম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!