সূর্যমূখি চাষে সাফল্যের আশা কৃষকের

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরে সূর্যমূখি চাষে সাফল্যের আশা জাগাচ্ছে কৃষকদের। এবছর বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মেহেরপুরের গাংনীতে বারি সূর্যমুখী-৩ চাষ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ভাল ফলনের প্রত্যাশ করছে চাষি। বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ করে ৩০-৪০ হাজার টাকা ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছে কৃষক।
গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৩৩ শতক জমিতে বানিজ্যিক ভত্তিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। বীজবপণের মাত্র ১শ’ দিনের মধ্যে বীজ ও তেল পাওয়া সম্ভব। দূর্যোগ সহনীয় হওয়ায় বারি ৩ জাতের সূর্যমুখী ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। মোশাররফ হোসেনর জমির সূর্যমূখি ফুলগুলো এখন ফলে রুপান্ত্রিত হচ্ছে। সূর্যমুখীর তেল পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলে এ তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া সর্যমূখি তৈলবীজ থেকে তেল নিস্কাসন করে নেবার পর এর থেকে খৈল তৈরী হয়। যা পশুর উৎকৃষ্ট খাবার হওয়ায় এরও ব্যাপক চাহীদা রয়েছে। গাছগুলোও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মোশারফ হোসেন সফলতা পেলে পাশর্^বর্তি জমির চাষীরাও তাদের জমিতে সুর্য্যমুখি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
সূর্যমুখি চাষি মোশারফ হোসেন বলেন,অল্প সময়ে কমখরচে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় তিনি সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন। এছাড়া সূর্যমুখী ফুলের তেল অত্যান্ত পুষ্টিকর ও খৈল থেকে পশুর খাবার ও গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এলাকায় নতুন হওয়ায় অনেকে দেখতে আসছেন। চাষটি লভবান হলে অনেকেই এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করছেন।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন বলেন, সূর্যমুখির তেল কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে। স্বল্প সময়ে উৎপাদন হয়। লাভও বেশি। তাই এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ফারুক আহমেদ,মেহেরপুর

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!