গাংনী নিউজ ডটকমঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বালিয়াঘাট মধ্য পাড়া মাঠে দুই কৃষকের প্রায় ৬ বিঘা কাঠা জমির কলার ক্ষেত কেটে তসরুপাত করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু মানুষের সাথে ফসলের শত্রুতা মেনে নেওয়া যায় না।এখন কলার অনেক দাম।
এটা চাষিদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। এই ক্ষতির খেসারত কে দেবে? যারা এই কাজ করেছে তাদের দ্রুত বিচার হওয়া দরকার।দোষীদের সনাক্ত করে সর্বোচ্চ দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।
স্থানীয় কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান,এঘটনায় কৃষকরা শঙ্কায় আছে কখন দুর্বৃত্তরা তাদের ফসল কেটে দেয়।যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।এতে দুই কৃষকের আনুমানিক প্রায় ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জমির মালিক মোঃ সাজাহান আলী জানান, আমার বালিয়াঘাট মাঠে কলার আবাদ রয়েছে।রাতের আঁধারে কে বা কাহারা আমার ১ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপাত করেছে।আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।আমি একদমই শেষ হয়ে গেলাম।আবাদ করে সংসার খরচ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া সবই চালায়।যারা এই জঘন্য কাজ করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।আমার কারো সাথে কোন শত্রুতাও নেই।কারা আমার এত বড় ক্ষতি করলো।আমি তো কারো কোন ক্ষতি করিনি।
জমির মালিক মোঃ রহিদুল ইসলাম জানান, বালিয়াঘাট মাঠে আমার প্রায় ৫ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এতে আমার প্রায় আনুমানিক ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।জমিগুলো আমার লিজ নেয়া।আমি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেব।প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি দোষীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনে আওতায় আনার জন্য।তাদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাহোক জাতে আর কেউ এই ধরনের কাজ না করতে পারে।
গাংনী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন,কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০ থেকে ১১ লক্ষ টাকা হতে পারে।আমি সরেজামিনে পরিদর্শন করেছি বিষয়টি কৃষি অফিসকে জানাবো।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব।
গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজিত কুমার নন্দী জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।