গাংনী নিউজ ডটকম:
গাংনীতে পিতা সনাক্তে ৭ বছর পর লাশ উত্তোলন
মেহেরপুরের গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে ৭ বছর পর কবর থেকে আল কবির নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পৌর শহরের পূর্ব মালশাদহ গ্রামের কবরস্থানে থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুল্লাহ আল মারুফ সহ গাংনী থানা পুলিশের টিমের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই জহির রায়হান) বলেন, পুর্ব মালসাদহ গ্রামের আব্দুল লতিফ নি:সন্তান হওয়ার কারনে একই গ্রামের মিজানুর রহমান খোকনের ছেলে আল কবিরকে লালন পালন (দত্তক) করার জন্য নেন। ছোট থেকে পালিত পিতা আব্দুল লতিফ ও পালিত মা হাজেরা খাতুনের কাছে বড় হয়।
এরপর আল কবিরের ভবিষ্যত ভেবে ৪শত ৬২ শতক (১৪ বিঘা) জমি তার নামে লিখে দেন পালিত পিতা আব্দুল লতিফ। এরপর ২০১৬ সালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায় আল কবির।
আল কবিরের মৃত্যুর কিছুদিন পর পালিত পিতা আব্দুল লতিফও মারা যায়।
আব্দুল লতিফ মারা যাওয়ার পর তার ভাই আবুল কাশেম সহ ৪৫ জন ওয়ারিশ দাবি করে ৪শত ৬২ শতক (১৪ বিঘা) দখল নিতে চায়।
কিন্তু আল কবিরের জন্মদাতা পিতা মিজানুর রহমান খোকন জমি দিতে রাজি না হয়ে মেহেরপুর যুগ্ন জেলা জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩/২০১৮। মেহেরপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক এহসান কবিরের নির্দেশ দিলে পিতা সনাক্তকরণের জন্য তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম বলেন,আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। কে আসল পিতা না পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।