তীব্র শীতে গাংনীর জনজীবন বিপর্যস্ত, শীত বস্তের জন্য হাহাকার

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ ডটকম:

সারা দেশের ন্যায় তীব্র শীতে কাঁপছে মেহেরপুরের গাংনী।গরম কাপড়েও যেন শীত নিবারণ হচ্ছে না।সকাল সন্ধ্যা আগুন তাপিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে বাজারে থাকা লোকজন।আগুন দেখে পথচারীরাও এসে আগুন তাপাচ্ছে।অটোচালক,ভ্যানচালক সহ যারা যানবাহন চালাচ্ছে তারাও আগুন দেখলে ছুটে আসছে আগুনের কাছে।ঘন কুয়াশার সাথে হালকা বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে শীত।পাড়া কিংবা রাস্তার ধারে যে যেখানেই খড়কুটো পাচ্ছে তাই ধরিয়ে আগুন তাপাচ্ছে।এমন দৃশ্য দেখা গেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হালকা বাতাস আর শীতে চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষেরা।যত শীতের প্রকোপ বাড়ছে তত তাদের কষ্ট বাড়ছে।

তারা আরো বলেন, অন্যান্য বছর শীতে হতদরিদ্র মানুষদের গরম পোশাক দিয়ে সহযোগিতা করেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে এ বছর শীতের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকলেও তেমন কোন সংগঠন এগিয়ে আসেনি হতদরিদ্রদের পাশে।

করমদী গ্রামের আসমাউল হোসেন বলেন,গত দুই সপ্তাহ ধরে খুব শীত পড়ছে।প্রচন্ড শীতে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে।শীত নিবারণের জন্য আগুন তাপাচ্ছি। আগুন ধরাতে দেখে লোকজন চলে আসছে শীত নিবারণের জন্য।আর আমাদের গ্রামের ভাষায় এটাকে শাজালও বলা হয়।
আর এই শীতে সমাজের বিত্তবানদের উচিত এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো।

অটো চালক মো: আবু রায়হান বলেন,ঘন কুয়াশা ও হালকা বাতাসে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাতে ও সকালে মানুষ ঘর হতে তেমন বের হচ্ছে না।তাই ভাড়াও কমে গেছে।রাস্তায় যাওয়ার সময় দেখি আগুন ধরিয়েছে তাই সেখানে হাত-পা গরম করে নেয়ার জন্য আগুন তাপাচ্ছি।আমরা গরীব মানুষ আমাদের পেটের তাগিতে বের হতে হয়।

ভ্যান চালক মোঃ মোমিদুল ইসলাম বলেন,প্রচন্ড শীত পড়ছে।সন্ধায় বের হয়ে দেখি হালকা বাতাসে শীত আরও বেড়ে গেছে।ভাড়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।যেখানে আগুন দেখি সেখানেই থেমে যায় কারণ শীতে হাত-পা কনকন করে যায়।তাই শীত নিবারণের জন্য আগুন তাপাচ্ছি।সবাই গোল হয়ে বসে আগুন পোহানোর দৃশ্য গ্রামের মধ্যে বেশি দেখা যায়।আর সবচেয়ে বেশি শীত লাগে হাত-পা আর কানে।

দেবীপুর গ্রামের মো: হাবিবুর রহমান বলেন,আমার বয়স প্রায় ৭০।খুব শীত লাগে।তাই আশেপাশে যেখানেই আগুন ধরাতে দেখি সেখানে ছুটে যায়।মোটা পোশাকেও যেন কাজ হচ্ছে না।শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে হালকা বাতাস।তাই প্রতিদিনই সন্ধ্যারাতে ও সকালে আগুন তাপায়।

আরেক ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম বলেন,সারাদিন ভ্যান চালাতে গিয়ে হালকা বাতাসে যেন শীত হাড় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ভাড়াতেও যেতে পারছি না।তাই কাঁপুনি থামাতে আগুন তাপাচ্ছি।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো: রাকিবুল হাসান জানান, আজ সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬°C এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪%।এ আবহাওয়া আরও এক সপ্তাহ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!