অপারেশনের ১৯ বছর পর রোগীর পেটে মিলল কাঁচির সন্ধান

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে অপারেশনের দীর্ঘ ১৯ বছর পর রোগীর পেটে পাওয়া গেছে কাঁচির সন্ধান। গত রোববার রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য’র সৃষ্টি হয়েছে। বাচেনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী।
বাচেনা খাতুন বলেন, ১৯ বছর পূর্বে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন ক্লিনিক মালিক পারভিয়াস হোসেন রাজার সাথে। একমাত্র সম্বল ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে চুক্তিকৃত টাকা পরিশোধ করা হয় ।
অপারেশন করার পর সুস্থ্য হওয়ার কথা কিন্তু বাচেঁনা খাতুনের পেটের যন্ত্রনা দিনদিন বাড়তেই থাকে পেটের ব্যথার অসহ্য যন্ত্রনায় বছরের পর বছর বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছুটেছেন তিনি। খুইয়েছেন অর্থ সম্পদ সব কিছু। তবুও ভালো হয়নি।
স্থানীয়দের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রেজা নাসিমের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে ৪/৫ ইঞ্চি’র একটি কাঁচির সন্ধান মেলে।
বাচেনা খাতুনের স্বামী আব্দুল হামিদ বলেন, তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে তেমন কাজ কর্মকরতে পারেন না। তবুও স্ত্রীর অসুস্থতার কথা মাথায় নিয়ে কমবেশি কাজকর্ম করে ও একমাত্র সম্বল ১০ কাটা জমি বিক্রি করে অপারেশন করানো হলেও তার স্ত্রী সুস্থ হতে পারেনী।  নানা সময়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি পথে বসেছেন। একদিকে স্ত্রীর ঔষধপত্র অন্য দিকে সংসার নিয়ে গত ১৯ বছর যাবৎ তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দোষিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দিলে পরবর্তীতে এত বড়ধরনের ভুল কেউ করতে পারবেনা বলে দাবি স্থানীয়দের। রাজা ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার পারভিয়াস হোসেন রাজা বলেন, আমি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারিনা। আমিও ওই অপারেশনের সময় সহকারি হিসেবে ছিলাম। তবে মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতা করা হবে।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!