গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার সময় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুজিবনগর দিবসটি বি ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুজিবনগর দিবসটি এ ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করছি, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে উত্থাপন হলে এ ক্যাটাগরি দিবস হিসেবে মুজিবনগর দিবস পালন করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, বিএনপি বলছে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান হয়ে যাবে। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এখানে শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তান হবার কোনো আশঙ্কা নেই। খালেদা জিয়া আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত। সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছে। বিএনপি চায় না খালেদা জিয়া বাইরে থাক। তাই তারা সব সময় আবোল-তাবোল বলে বেড়াচ্ছে।
এদিকে পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার, বিজিবি মুক্তিযোদ্ধা, স্কাউট ও গার্লস গাইড দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে মুজিবনগর দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রদর্শন করা হয় গীতিনাট্য ‘জল মাটি ও মানুষ’। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ খালেক সহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।