গাংনীতে নিখোঁজের একমাস পর শ্রমিকের গলিত মরদেহ উদ্ধার

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টােয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে নিখোঁজের একমাস পর লাল্টু মিয়া (৩৫) নামের এক ইটভাঙ্গা শ্রমিকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত পানির কুয়া থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। লাল্টু মিয়া পার্শবর্তী নওদাপাড়া গ্রামের সাইনুদ্দীনের ছেলে।
লাল্টুর মিয়ার ভাই পল্টু মিয়া জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হয় তার ভাই লাল্টু মিয়া। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নী পরে ১৪ সেপ্টম্বর গাংনী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়। যার নং ৬৪৯।
হঠাৎ হাড়াভাঙ্গা গ্রামের সৌদ্দি প্রবাসী আহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের (৩৭) পরকিয়ায় জড়ানোর বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। এরপর সাবিনা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সাবিনা খাতুন পুলিশকে জানিয়েছে লাল্টুর সাথে তার পরকিয়া ছিলো। গত ১১ সেপ্টম্বর রাতে তার বাড়িতে এসে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার মরদেহ বাড়ির মধ্যে পরিত্যাক্ত পানির কুয়ায় ফেলে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,লাল্টু মিয়া ইটভাঙ্গা শ্রমিক হিসেবে কাজকর্ম করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। লাল্টু মিয়া সাবিনা খাতুনের বাড়িতে গত ৬/৭ মাস পূর্বে ইটভাঙ্গতে গিয়ে পরোকিয়া জড়িয়ে পড়ে। পরোকিয়ার বিষয়টি সাবিনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানতে পেরে এ নিয়ে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ১১ সেপ্টম্বর সাবিনা খাতুন নওদাপাড়া গ্রামের গিয়ে লাল্টুর মাকে সার্বিক বিষয়ে খুলে বলে তার বাড়িতে যাতায়াত করতে নিষেধ করে আসে। ঘটনাটি লাল্টুকে তার মা জানালে ঐ রাতেই লাল্টু সাবিনা খাতুনের বাড়িতে আসে এক পর্যায় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরপর দীর্ঘ সময় নিখোঁজ থাকার পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তাজুল ইসলাম বলেন,সাবিনা খাতুন পুলিশ হেফাযতে রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে নেয়া হবে। এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!