গাংনীতে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে অনিয়ম

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনীতে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প পাঠদান কেন্দ্রের হ-য-ব-র-ল অবস্থা চলছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) পাঠদান কেন্দ্র ঠিকমত চলছে না। তদুপরি স্থানীয় বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বয়স্ক শিখন কেন্দ্রের সুপারভাইজার ও শিক্ষকদের নানা অযুহাতে সম্মানীভাতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। গাংনী উপজেলায় ৩ শত শিখন কেন্দ্র থাকলেও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানেন না যে, কোথায় শিক্ষা কেন্দ্র এবং কে সুপারভাইজার ,কে শিক্ষক। কখন শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয় এবং কখন বন্ধ করা হয়। এই তালিকা প্রকল্পের মেয়াদ ইতোমধ্যে ৬ মাস অতিবাহিত হলেও সুবাহ সংস্থা আজও ইউনিয়ন পরিষদে বা উপজেলা পর্যায়ে কোন কেন্দ্র তালিকা দেয়া হয়নি। সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হামিদুল হক,সংস্থার প্রকল্প পরিচালক আব্দুল কুদ্দুসের সাথে কেন্দ্র তালিকা এবং শিখন কেন্দ্র শুরুর তথ্য তালিকা চাইলে নানা অযুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান।একপর্যায়ে জানান, সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবহিত করণ এটা আমাদের সংস্থার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। প্রকল্পের ডিজাইনের মধ্যে এটা পড়ে না। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার সুযোগ নিয়ে অবদান রাখা সম্ভব। তাই এখানে ৩০ জন করে নিরক্ষর মহিলা ও পুরুষ শিক্ষালাভের সুযোগ থাকলেও কোন কেন্দ্রই ঠিকমত চলে না। উপজেলার গোপালনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের শিউরি খাতুন, চাতর পাড়ার শাহনাজ পারভীন,শাপলা খাতুন, মিতা খাতুনের কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে কোন কেন্দ্র খোলা পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়,বয়ষ্ক লোকজন ঠিকমত আসতে চাইনা। বাড়ী থেকে ডেকে ডেকে আনতে হয়।গড়ে ৮-১০ জন আসে।কেন্দ্র ঠিকমত চলে না। অন্যদিকে শিক্ষকদের মাসিক সম্মানীভাতা ২ হাজার ৪শ’ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১ হাজার ৭০ টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানান, আমাদের বেতন যে ভাবে দেয় আমরাও সেভাবে কেন্দ্র চালাই। শিক্ষার্থীরা না আসলে আমরা কি করবো।এছাড়াও শিক্ষক তালিকায় নাম থাকলেও কেন্দ্র না চালু রেখে তাদের মাসিক সম্মানী ভাতা গোপনে খাতাকলমে সাক্ষর করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আজ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে মাসিক ভাতা প্রদান কালে বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রকল্প কর্মকর্তা জুননুন আলম জানান, আমি নতুন এসেছি। গাংনী উপজেলার সব শিখন কেন্দ্র পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি। সম্মানীভাতা আত্মসাতের বিষয়টি আমার অজানা। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। ইতো মধ্যে এ বিষয়ে সচ্ছতা আনার জন্যই অফিস থেকে বেতন দেয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!