মৃত্যুর ১০ দিন পর দেশে আসলো প্রবাসীর লাশ

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ ডটকম:

পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে আর সংসারের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রায় ৭ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মো: তোফাজ্জল হোসেন(৫৫)।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই প্রবাসী টাকার মেশিনটা ১ম রোজার দিন স্ট্রোক করে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।মৃত্যুর ১০ দিন পর মালেশিয়া থেকে দেশে আসে তাঁর নিথর দেহ।

লাশ নিজ গ্রামে পৌঁছানোর পর এক পলক দেখার জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।
মো: তোফাজ্জল হোসেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের ঝোড়াঘাট গ্রামের মৃত মো: আব্দুল মজিদের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে তাঁর লাশ নিজগ্রাম ঝোড়াঘাটে এসে পৌঁছায়।সকাল দশটায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
তিনি মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান,অভাব অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে দীর্ঘদিন প্রবাসী অবস্থান করছিলেন তিনি।হঠাৎ ১ম রোজার দিনে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।মৃত্যু চিরন্তন সত্য।আমাদের সকালকেই এই পথের যাত্রী হতে হবে।কবে কখন কার ডাক এসে যায় পৃথিবীর কেউ বলতে পারে না।যারা প্রবাস থেকে তাঁর লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

তোফাজ্জল হোসেনের ভাইয়ের ছেলে বিপ্লব হোসেন বলেন, আমার চাচা দীর্ঘদিন দুবাই ও ব্রোনাই ছিলেন।এরপর মালয়েশিয়ায় যান সেখানে প্রায় ৭ বছর অবস্থান করছিলেন কিন্তু প্রথম রোজার দিন হঠাৎ শুনতে পাই আমার চাচা স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেছেন।আমার চাচার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা দ্রুত কাগজপত্র সেখানে প্রেরণ করি।আজ দশম রোজায় চাচার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।

তিনি আরো বলেন,আমার চাচার সহকর্মীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রেখেছিলাম তারা দ্রুত লাশ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।এজন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই মরজেম আলী বলেন, আমার ভাই পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছিলেন।আমি বড় অথচ সে আমার অনেক ছোট।আমার আগেই সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল।আপনারা সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়দুর রহমান কমল জানান, আমি তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর প্রকাশ করছি।প্রবাসে তাঁর সহকর্মীদের অসংখ্য ধন্যবাদ তাঁর লাশ দ্রুত দেশে ফিরে আনার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।

উল্লেখ্য: প্রথম রোজার দিন তোফাজ্জল হোসেন স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। তিনি মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।মৃত্যুর দশ দিন পর তাঁর লাশ দেশে আসলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!