গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :
করোনা ভাইরাস সংক্রামন নিয়ন্ত্রন করার জন্য মেহেরপুরের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঔষধ, মুদি ও সবজি দোকান খোলা রয়েছে। সড়ক ও বাজার গুলোতে জনশুণ্যে হওয়ায় চলছে শুনশান নিরবতা। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনী জানান,করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ছাড়াতে না পারে এজন্য জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যতিত সকল দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। যে কোন সময় সেনাবাহিনী টহল শুরু করবে। সেনাবাহিনী প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা করবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। সরকারের সব ধরনে প্রস্তুতি রয়েছে। কারোর গুজবে কান না দিয়ে যত সম্ভব বাড়িতে অবস্থান করার আহবান তিনি। এদিকে মেহেরপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনজিও গুলোকে ঋণআদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, জনসমাগম রোধে পুলিশ সদস্যরা মাঠে টহল দিচ্ছেন। এছাড়া জনসাধারনকে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদিকে বিদেশ ফেরত সবার বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি তদারকি করছে। রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে কোন করোনা রুগী সনাক্ত হয়নী। এছাড়া গত কয়েকদিনে ৭জন রোনা আক্রান্ত রুগী সুস্থ হয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। মেহেরপুর জেলা বাস ও মিনিবার মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল জানান,করোনা ভাইরাস সংক্রামন বিস্তার রোধে পূর্নাঙ্গ ভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে করোনার প্রভাবে কোন কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমুজুর শ্রমিকরা। কাজ না পাওয়া এবং ঘর থেকে বের হতে না পারায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় রাস্তায় জনসমাগম কমে গেছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে জনসমাগম এখনও বন্ধ হয়নি।
ফারুক আহমেদ