গাংনীতে ইটভাটা ব্যবসায়ী খোকন হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরের ভিটাপাড়ার ইটভাটা ব্যবসায়ী রেজাউল হক খোকন হত্যা মামলায় ৬জনকে বেকসুর খালাস ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে রিপন ওরফে রবিনহুড , গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লী বিদ্যৎ সাবষ্টেশন পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে আব্দুল কাদের, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী ওরফে পিচ্চি হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার গাংনী ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল হক খোকন তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরু করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতের বাড়ি ফিরতে দেরী হয় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তৎকালীন কমিশনার আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩শ’ গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গাংনী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরদিন তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় রেজাউল হক খোকনের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ১২ জনের নামে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪। জি আর নং ৫৯৭ /১১।
১২ আসামির মধ্যে ৪ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনীর র‌্যাব-৬ এর এস আই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার অপর ৬ আসামি আড়পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আখতারুজ্জামান ওরফে বাবু, জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল, আড়পাড়া গ্রামের লাল চাঁদের ছেলে মজনু, মালসাদহ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম, হাড়িয়াদহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা এবং সানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ আলীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে শান্তর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং রমজান আলী কৌশলী ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!