সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ বিমানে দুর্নীতির ১৯ খাত প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখানে হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার কাঠামো নেই। বিভিন্ন পর্যায়ের মনিটরিং করার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। এর পেছনে বাইরে থেকে বিভিন্ন ক্ষমতাধর অবৈধ ও অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে থাকেন। আর ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে পদ্ধতি মেনে চলা হয় না।
বিমানের কেনাকাটায় কোনো পদ্ধতি মানা হয় না। তা হলে তো দুর্নীতি হবেই। তিনি বলেন, আমাদের বিধিবিধান ও সিস্টেমগুলো দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে রয়েছে। এ জন্য যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি হয়ে আসছে। একই ভাবে দুর্নীতি দমনের পদ্ধতিগুলোও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যেমনটি বাংলাদেশ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনে হয়েছে। দুর্নীতি ঠেকাতে সবার আগে সরকারকেই দায়বদ্ধ হতে হবে বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, সরকারের কঠোর নজরদারির পর যারা বিমান বা সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত, তাদেরও দায়বদ্ধ হতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে কোথায় কোথায় বিধিবিধান পরিবর্তন করা দরকার, সেটা এখনই করতে হবে। নজরদারি এবং বিধিবিধান তৈরির পর এর প্রয়োগ করা হলেই বিমানকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল এভিয়েশনকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব।