গাংনী নিউজ ডটকমঃ
মেহেরপুরের গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি পিঠা-পুলি ও ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন এই উৎসবের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বুধবার দিনব্যাপি এই পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টলে ৮০ প্রকারেরর বিভিন্ন পিঠার পড়সা সাজিয়ে বসে শিক্ষার্থীরা।
শীতকালীন পিঠা খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছরই দেশে বর্ণিল আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শীতজুড়ে বাংলাদেশে সব ধরনের পিঠা খাওয়ার উন্মাদনা থাকে। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো গেলো পিঠা উৎসব।
শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরী করা পিয়াসা, পাটি সাপটা, আন্দসা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ ৮০ ধরণের পিঠা। অতিথিীবৃন্দ সহ আগতরা ভোজন রসিকরাও এসে পিঠা খেয়ে নানা প্রশংসা করছেন। সেই সাথে অনেকে এসেছেন তাদের সন্তানদেরকে পিঠা পুলির স্বাদের পাশাপাশি পিঠার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পিঠা বাংঙ্গালীদের একটি এীতহ্য। এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে পিঠা ও গ্রামীন সংস্কৃতি থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে তাই সেটাকে ধরে রাখতে এই পিঠা আয়োজন
গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক স্টল পরির্ধশন শেষে বলেন, পিঠা উৎসব অনেক আনন্দের। হারিয়ে যাওয়া অনেক পিঠাই স্টলে শোভা পাচ্ছে। এতিহ্য পিঠাপুলির আয়োজন করায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু বলেন, পিঠা উৎসক ঐতিহ্যর উৎসব এই স্কুলে প্রতিবছর হয়। তবে এটা ছড়িয়ে দিতে আহবান জানান তিনি।
মেহেরপুর ২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মো: নাজমুল হক সাগর বলেন, পিঠা পুলি উৎসব বাংঙ্গালির ঐহিত্য’র অংশ। ধারাবাহিকতা রক্ষার আহবান জানান তিনি।