মেহেরপুরে ভূমি অধিগ্রহণে আতঙ্কিত ভূমি মালিকরা

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:

মেহেরপুর ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে জমির মালিকরা। ভুমিঅধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারিদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বেড়াজালে সঠিক মূল্য না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন ভূমি মালিকরা। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেমানা হচ্ছেনা ২০১৭ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন। অধিগ্রহণের সময় জমির বাজার মূল্য নির্ধারণের কথা থাকলেও জেলাপ্রশাসনের নির্ধারিত ভৌতিকমূল্য বাজার দরের সাথে কোন ভাবেই মিলছেনা। ফলে জমির মালিকরা মামলার আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।
ভূমি মালিকদের অভিযোগ জমি অধিগ্রহণ আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৪ ধারায় উল্লেখ আছে জেলা প্রশাসক যৌথ তালিকা প্রস্তুত করে শ্রেনী পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কিন্তু জেলা প্রশাসকের সে সিদ্ধান্তকে অমান্য করে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে ভিটাবাড়ি, আবাসিক জমির দাম দিচ্ছে কৃষিআবাদি জমির মূল্যে। ফলে বাজার মুল্যের চারভাগের এক ভাগও দাম পাচ্ছেনা জমি মালিকরা। জমির মুল্য নিধারণের সময় মানা হচ্ছেনা কোন নিয়মনিতি। এ মুল্য নির্ধারন বিষয়ে জানতে চাইলে ব প্রতিবাদ করলে ভুমি আধিগ্রহণের কর্মচারিরা জমিরমালিককে হুমকী ধামকি দিয়ে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। ফলে জমি মালিকরা জেলা প্রশাসনের কাছে বিচারনা পেয়ে দারস্থ হচ্ছেআদালতের । মামলা জটিলতায় থমকে যাচ্ছে সরকারের উন্নয়ন।
২২ জেলায় ১টি করে পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নির্মান জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে মেহেরপুর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নির্মান । বাংলাদেশের সব উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান হলেও ভুমি অধিগ্রহন জটিলতায় মুজিবনগর মডেল মসজিদের কাজ এখোনো আলোর মুখ দেখিনি। মেহেরপুরে রেললাইন , মুজিবনগর সৃতি কমপ্লেক্স , চেকপোস্ট , বিশ^বিদ্যালয় সহ অনেক উন্নয়নমুলক কাজ মন্ত্রীসভায় পাশ হয়েছে যা অল্প দিনেই ভুমি অধিগ্রহন হবে তা নিয়ে মেহেরপুরের জমির মালিকরা আতঙ্কিত ।
মুজিবনগরের তোয়াক্কন নেছা বলেন,আমার একমাত্র বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আমি আমার পরিবার এ নিয়ে মানবমন্ধন করেছি ও প্রশাসনের কাছে লিখত সুরুহা চেয়েছি তবে এখনও কোন ফল পায়নি। মেহেরপুর বামনপাড়া মৌজার জমির মালিক আশরাফুলহক বলেন, আমার একবিঘা জমি অধিগ্রহণকরা হয়েছে। আমার পাশের জমিবিক্রয় হচ্ছে প্রায় ১২ লাখটাকা (শতাংশ) সরকার আমার জমির মুল্য নির্ধারণকরেছে ৫৭ হাজার টাকা(শতাংশ)। সরকারি নিধারিত সর্ব নিম্ম মূল্যও চেয়েও কম করে আমার জমির মূল্য নিধারন করা হয়েছে। এমনকি আমাকে আপত্তি দাখিলেরজন্য মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। বন্দরগ্রামের মোঃ গাউছুল বলেন,ছহিউদ্দিন টেক্সটাইল ইনঞ্জিনিয়ারিং ইন্সিটিটিউটএর জন্য আমাদের তিন শরিকের ১২কাঠা জমি সরকার অধিগ্রহন করেছে । আমাদের কোন টাকা পয়সা দেয়নি । আমার জমির উপর লিচুগাছ ছিলো সেগুলোও দেয়নি। আমরা বাধা দিলে পুলিশ এসে আমাদের ভয়ভিতি দেখিয়ে জোর করে কাজ করছে।
মেহেরপুর সাবেক পৌর মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু বলেন, আমার ছেলের একমাত্র সম্বল ভিটা জমি মুজিবনগর মডেলম সজিদ প্রশাসন আইননীতির তোয়াক্কানা করে অধিগ্রহণের জন্য মেতে উঠেছে। জমি অধিগ্রহণের নামে মেহেরপুরের ভুমি মালিকদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানীর বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি।
ভুমি মালিক মেরিনা পারভীনবলেন, জমিরমূল্য নির্ধারণের সময় বাজার মূল্যের শিকিভাগ দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে জনতে চাইলে ভ’মি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তারা জমির মালিককে হুমকী ধামকি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলামবলেন, জমিরমুল্য নির্ধারনকরা সেই মৌজার ১ বছরের ক্রয় বিক্রয়ের গড় অনুযায়ি। আমাদের জমিরমুল্য কম বেশি করার সুযোগ নেই। ভুমি মালিকরা জমিরমুল্যেও উপর আপত্তি জানানোর জন্য যে সময় আছে তাইপাবে । যদি কেউ তা না পায় সে আমার কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি আমি দেখবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!