সবুজ মাঠ ঢেকেছে হলুদ সরিষা ফুলে

কর্তৃক farukgangni

গাংনী নিউজ ডটকমঃ

মেহেরপুরের গাংনীতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সরিষা চাষ।সরিষা চাষে চাষীদের অনীহা থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সরিষা চাষি।উপজেলার মাঠগুলো যেন হলুদ গালিচায় যায় ঢাকা।সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের মৌমাছিরা যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তেমনি এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে নানা রকম ছবি তুলছে পথচারীরা।উপজেলা কৃষি অফিস বলছে উপজেলায় নতুন করে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরিষা ফুলে ভরে গেছে।ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছি আসছে মধু সংগ্রহ করতে।আর বিভিন্ন পথচারীরা তুলছে মনের মত ছবি।

জোড়পুকুরিয়া মাঠের সরিষা চাষি আক্কাস আলী বলেন, প্রায় দেখি তেলের দাম ওঠানামা করছে।তেলের দাম বৃদ্ধি পায় বেশি আর কমে কম।যে সকল জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায় তা আর কমে না বললেই চলে।
তাই অন্যান্য ফসলের সাথে সরিষার চাষ করছি।বছরে যদি তেল কেনা না লাগে তাহলে অনেক খরচ বেঁচে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সরিষা থেকে তেল,গবাদি পশুর খাবার হিসেবে খৈল হয়।এছাড়াও সবুজ পাতা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরিষা চাষ হয়েছে।প্রত্যেক চাষিদের উচিত খাদ্যশস্য সহ যে সকল দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় সেগুলো চাষিদের আবাদ করা।গত বছরের চেয়ে এবার সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তেরাইল মাঠের সরিষা চাষি আরফান আলী বলেন,সয়াবিন তেলের দাম কখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে আবার কখনো কমছে।এখন দাম বেশি।অধিকাংশ মানুষ তেল কিনতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাচ্ছে।কারণ একটি ছোট পরিবারে মাসে সর্বনিম্ন রান্না করার জন্য ৫ কেজি তেল লাগে।সয়াবিন তেল যাতে না কিনতে হয় এজন্য সরিষার আবাদ করেছি।উপজেলায় অনেক চাষি সরিষার আবাদ করছে।

পথচারী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, জোড়পুকুরিয়া মাঠটি সরিষা ফুলে পরিপূর্ণ,দেখতে অসাধারণ লাগছে।স্ত্রী ও কন্যার ছবি তুললাম।আর মাঠটি রাস্তার ধারে হওয়ায় মনোমুগ্ধকর দেখাচ্ছে।

তেল ক্রয় করতে আসা মোঃ মজনু আলী বলেন, সয়াবিন তেল নিচ্ছে ১৭৫ টাকা কেজি।আর কিছুদিন আগে সরিষার তেল কিনেছিলাম ২৪০ টাকা কেজি।

দেবীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো: রোকনুজ্জামান জানান, বর্তমানে সাদা ও লাল সরিষার বাজার দ্বর ২৮’শ থেকে ৩ হাজার টাকা চলছে।আগের চেয়ে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।আশা করছি চাষিরা চলতি বছর দাম ভালো পাবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, উপজেলা চলতি মৌসুমে মধ্যে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৭’শ হেক্টর।গত বছর ২৫’শ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল।
কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সরিষার চাষ বেড়েছে।অনুকূ আবহাওয়া ও দাম ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।কৃষি অফিস চাষিদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন

shares
error: Content is protected !!